‘নির্বাচনী ব্যবস্থাকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র করছে ইসি’

‘নির্বাচনী ব্যবস্থাকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র করছে ইসি’
 http://adf.ly/1Ykl3J
নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। একইসঙ্গে প্রথম দফার ইউপি নির্বাচন সন্ত্রাসমুখর হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। দুুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা: নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, সন্ত্রাসমুখর একটা নির্বাচন দেশে হচ্ছে। এতে সন্ত্রাসীরা অংশগ্রহণ করছে। যারা ভোটার তারা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। কেন্দ্রের আশেপাশেও যেতে পারছেন না। কেউ সাহস করে গেলে বা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী অংশ গেলে তারা  সেখানে গুলি খেয়ে মৃত্যুবরণ করছে।  বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে। এটা তারা করেই যাবে। আবারও বর্তমান ইসির অপসারণ দাবি করেন তিনি। নোমান  বলেন, এই কমিশনের পরোক্ষ মেসেজ হলো- তোমরা ভোট কেন্দ্রে  যেও না। কেন্দ্রে গেলে ভোটটা তুমি দিতে পারবে না। আর যদি  ভোট দিতে পারো, সেই ভোট কাউন্ট হবে না। কাউন্ট যেটা হবে  সেটা সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী। তোমার জন্য সেই ব্যালট একটা কাগজ ছাড়া আর কিছু হবে না। ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ও প্রাণহানির দায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ইসির উদ্দেশে নোমান বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলবো, আপনাদের চাকরি শেষ হলে আপনারা নির্বিঘেœ সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে পারবেন না। ফখরুদ্দীন, মঈন উ আহমেদ কোথায়? দেশে নাই। যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের বলবো, এখনও সময় আছে, সাবধান হোন। চিন্তা করুন- জনগণের আকাক্সক্ষার বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ কোন দিন লাভবান হতে পারেনি। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, এরশাদ চেষ্টা করেছে, তাদের পেছনের দরজা দিয়েই পালিয়ে যেতে হয়েছে। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না করলে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকেও ‘পেছনের দরজা দিয়ে’ পালাতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।  সংগঠনের উপদেষ্টা মো. আতিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বক্তব্য দেন।