‘স্থানীয় সরকার ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে’
‘স্থানীয় সরকার ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে’
বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। কেন্দ্রীয় সরকারই স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী এবং কার্যকর করার পদক্ষেপ নেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হলে তৃণমূলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। গতকাল গুলশানের স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে ব্র্যাক ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর উদ্যোগে ‘স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্টের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম-এর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, ব্র্যাক- এর পরিচালক আন্না মিন্জ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব এওয়াইবি সিদ্দিকী, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, দাতা সংস্থা নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা এ প্রকল্পের উপকারভোগী জনপ্রতিনিধি, স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা সিভিল সোসাইটি, ইয়ুথ লিডার এবং তথ্য বন্ধুরা তাদের সফলতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। ড. আকবর আলি খান বলেন, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হলে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, জনপ্রতিনিধিদের সামর্থ্য বিকাশ এবং তৃণমূলে সংঘটিত সিভিল সোসাইটি গড়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছা এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এম হাফিজ উদ্দিন প্রকল্পের কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করে বলেন ভালো কাজ হয়েছে। এটা ছড়িয়ে দিতে হবে। সরকার চায় না স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হোক এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাই আমাদেরকেই এটা করতে হবে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, মনে হচ্ছে সংসদ থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত একদলীয়শাসন চালু থাকবে। ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের স্থানীয় সরকার উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে পারেনি। আগে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হতেন। এখন সেখানে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, দলীয়করণের কারণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বায়ত্তশাসন আরো কমবে। স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে হলে স্থানীয় সরকার কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। ব্র্যাক ও দি হাঙ্গার প্রজেক্টের স্থানীয় শক্তিশালী প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরে ব্যাক-এর পরিচালক আন্না মিন্জ বলেন, এ দুটি প্রতিষ্ঠান এ লক্ষে ২০১০ সাল থেকে কাজ করছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৪টি জেলার ১৪টি উপজেলার ৬১টি ইউনিয়ন পরিষদকে বিধিবদ্ধভাবে পরিচালনা ও কার্যকর করার চেষ্টা করা হয়েছে। তৃণমূলে সিভিল সোসাইটি তৈরি এবং অ্যাডভোকেসি করা হয়েছে। এসব ইউনিয়নকে এক মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। ড. বদিউল আলম বলেন, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হলে তাকে কার্যকর করতে হবে এবং এর মাধ্যমে মানুষের জীবনমানে পরিবর্তন আনতে হবে। এ ছাড়া আইনানুযায়ী পরিষদের কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং তৃণমূলে একদল প্রশিক্ষিত এবং সোচ্চার স্বেচ্ছাব্রতী তৈরি করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ মুসা বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে আইনের শাসন থাকবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে মানুষ তাদের সেবা ও অধিকার পাবে। তিনি বলেন, সদিচ্ছা থাকলে সীমাবদ্ধতার মধ্যেও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা সম্ভব। এজন্য জনপ্রতিনিধি এবং জনগণকে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। মতবিনিময় সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা জনপ্রতিনিধিরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বলেন, আগে আমাদের নানাভাবে দোষারোপ করা হতো। চোর বলে আখ্যায়িত করা হতো। কিন্তু এই প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়ে এবং তাদের মনিটরিংয়ের কারণে আমরা প্রতি ওয়ার্ডে নিয়মিত ওয়ার্ড মিটিং করি। সেখানে সরকার থেকে আসা বরাদ্দ নিয়ে কথা হয়। তারাই সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোন্ খাতে এ প্রকল্পের বরাদ্দ ব্যয় করা হবে। ফলে জনপ্রতিনিধিরা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পারেন। আবার জবাবদিহিতাও নিশ্চিত হয়। তাছাড়া ওয়ার্ডবাসীর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠার কারণে অভ্যন্তরীণ আয় বাড়ানোর ব্যাপারে তারা সহযোগিতা করেন। ফলে সরকারি বরাদ্দের বাইরেও এই সব আয় দিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব হয়। উল্লেখ্য, ব্র্যাক ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পরিচালিত এ প্রকল্পটির লক্ষ ছিল স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করে ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করা এবং এর মধ্যদিয়ে এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা। প্রকল্পটি ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ অনুযায়ী পরিষদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে পরিষদের দক্ষতা বৃদ্ধি, জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং প্রান্তিক গোষ্ঠির জন্য সরকারি সেবাসমূহ প্রাপ্তিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারণকে সচেতন ও সংঘবদ্ধ করে ইউনিয়ন পরিষদের স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হয়েছে বলে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়।
রিপোর্টারের অশালীন প্রশ্নে সপাটে চড় সানির......
রিপোর্টারের অশালীন প্রশ্নে সপাটে চড় সানির...
আবার অশালিন প্রশ্নের মুখে সানি লিওন। সে বার নিজেকে সংযত রেখে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এ বার আর সহ্য করেননি। সোজা চড় কষিয়ে দিলেন ওই প্রশ্নকর্তাকে। আর তাই নিয়ে এখন তোলপাড় বলিউড। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের সুরতে। একটি হোলির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সানি। অনুষ্ঠানের নাম ‘প্লে হোলি উইথ সানি লিওন’। সেখানেই পারফর্ম্যান্সের আগে একটি পাঁচতারা হোটেলের করিডোরে তাঁকে আচমকা প্রশ্ন ছুড়ে দেন এক সাংবাদিক, “আগে আপনি পর্ন স্টার ছিলেন, এখন ফিল্ম স্টার। সুতরাং এখন আপনি কত টাকা নেন?” প্রশ্ন শুনেই রেগে ওঠেন সানি। তবু নিজেকে সংযত রেখে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘কী বললেন? আর এক বার বলুন!’’ এর পর প্রশ্ন আরও স্পষ্ট, আরও অশালিন হয় ধেয়ে আসে সানির উদ্দেশে। এ বার সাংবাদিক খুব স্পষ্ট ভাষায় জানতে চান, “রাতের প্রোগ্রামের জন্য এখন আপনার চার্জ কত?” নিজেকে আর সংযত রাখতে পারেননি। এই চরম অভব্যতা আর সহ্য করেননি। সোজা চড় কষিয়ে দেন ওই সাংবাদিককে।
এই হুলুস্থুল কাণ্ডের মধ্যে আতান্তরে পড়ে গিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। ক্ষিপ্ত, অপমানিত সানি অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়েই ফিরে যাবেন, আশঙ্কা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু পেশাদার ব্যক্তিত্বের মতোই তাত্ক্ষণিক ঘটনার রেশ কাটিয়ে, নিজেকে সংযত করে নির্ধারিত অনুষ্ঠানের মঞ্চে গিয়ে হাজির হন তিনি।
ওই রিপোর্টারের বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি সানি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর স্বামী ড্যানিয়েল ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘‘সাংবাদিককে যা জবাব দেওয়া সানিই দিয়ে দিয়েছে, সেই কারণেই আর পুলিশে জানানো হয়নি।...তবে এর পর গুজরাতে আসার আগে হাজারবার ভাববে সানি।”
সানি লিওনের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। কিছু দিন আগেই একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাত্কারে তাঁর অতীতের প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিয়েছিলেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। ইন্টারভিউ-এর অ্যাঙ্কর বার বার সানিকে ‘পর্ন কুইন’ বলে সম্বোধনও করেছিলেন। তা নিয়ে তোলপাড় হয় বলিউড-সহ দেশের বিভিন্ন মহল। এই অসভ্যতা আর অপমানের বিরুদ্ধে মুখ খুলে সানির পাশে দাঁড়ান আমির খান, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো অনেকেই। সে বার বাড়ি ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সানি। এ বারও হয়ত বাড়ি ফিরে কাঁদবেন। এক দল মানুষের এই ধরণের কুত্সিত ইঙ্গিতের মুখে বার বার হয়ত পড়তেই হবে তাঁকে। কিন্তু কান্না ছাপিয়ে এই সপাটে চড়ের মধ্যে সেই মানুষ সানির দেখা মিলল, যাঁর সহ্যেরও একটা সীমা আছে।
এই হুলুস্থুল কাণ্ডের মধ্যে আতান্তরে পড়ে গিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। ক্ষিপ্ত, অপমানিত সানি অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়েই ফিরে যাবেন, আশঙ্কা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু পেশাদার ব্যক্তিত্বের মতোই তাত্ক্ষণিক ঘটনার রেশ কাটিয়ে, নিজেকে সংযত করে নির্ধারিত অনুষ্ঠানের মঞ্চে গিয়ে হাজির হন তিনি।
ওই রিপোর্টারের বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি সানি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর স্বামী ড্যানিয়েল ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘‘সাংবাদিককে যা জবাব দেওয়া সানিই দিয়ে দিয়েছে, সেই কারণেই আর পুলিশে জানানো হয়নি।...তবে এর পর গুজরাতে আসার আগে হাজারবার ভাববে সানি।”
সানি লিওনের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। কিছু দিন আগেই একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাত্কারে তাঁর অতীতের প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিয়েছিলেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। ইন্টারভিউ-এর অ্যাঙ্কর বার বার সানিকে ‘পর্ন কুইন’ বলে সম্বোধনও করেছিলেন। তা নিয়ে তোলপাড় হয় বলিউড-সহ দেশের বিভিন্ন মহল। এই অসভ্যতা আর অপমানের বিরুদ্ধে মুখ খুলে সানির পাশে দাঁড়ান আমির খান, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো অনেকেই। সে বার বাড়ি ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সানি। এ বারও হয়ত বাড়ি ফিরে কাঁদবেন। এক দল মানুষের এই ধরণের কুত্সিত ইঙ্গিতের মুখে বার বার হয়ত পড়তেই হবে তাঁকে। কিন্তু কান্না ছাপিয়ে এই সপাটে চড়ের মধ্যে সেই মানুষ সানির দেখা মিলল, যাঁর সহ্যেরও একটা সীমা আছে।
ছাত্রীদের আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়েছেন শিক্ষক!
ছাত্রীদের আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়েছেন শিক্ষক!
ওই চার শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরিন আক্তার বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও সভাপতিকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক ওই বিদ্যালয়ের চার ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি মোবাইল ফোনে তুলে ফেসবুকে আপলোড করেন।
এতে করে এলাকায় ছাত্রীদের নিয়ে অনেক কানাঘুষা হয়। লোকলজ্জার কারণে ওই ছাত্রীরা আর বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। ছাত্রীদের পরিবারের লোকজন পরে বিষয়টি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে জানান। কিন্তু অধ্যক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণকরেননি।
বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার ওই চার ছাত্রীর অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় কমিটির সভাপতির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়িত্ব এড়াতে পারেন না অর্থমন্ত্রী
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়িত্ব এড়াতে পারেন না অর্থমন্ত্রী
ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় উনি (অর্থমন্ত্রী) জড়িত না থাকতে পারেন, তবে দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। সরকারের মন্ত্রী হয়ে তার তো কিছু দায়িত্ব আছে। তার উচিত ছিল পদত্যাগ করা।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, উনি (আবুল মাল আব্দুল মুহিত) স্বাধীনতার সময় কোন সেক্টরে ও কোথায় যুদ্ধ করেছেন? কোন অবদানের জন্য ওনাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হলো তা জাতি জানতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফরচুন বিশ্বের মহান ৫০ নেতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দশম স্থান দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিএনপির এ নেতা।
তিনি বলেন, যদি এ দেশের মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য মহান নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তা হলে আমাদের আপত্তি নেই। তবে কি কারণে উনি দশম স্থান অধিকার করলেন তা আমাদের জানতে হবে।
ইউপি নির্বাচনে সমালোচনা করে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, যে নির্বাচন হলো তাতে তো ভোট হয়নি, হয়েছে বোট (নৌকা) মার্কা নির্বাচন। আর এ নির্বাচনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিবউদ্দীনের বিচার একদিন বাংলাদেশের মাটিতেই হবে।
দেশে গণতন্ত্র নেই অভিযোগ করে তিনি বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নয়, হাসিনাতন্ত্র, রকিবতন্ত্র ও বাকশালতন্ত্র চলছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশের) সভাপতি আব্দুল হাই সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরো অংশ নেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজে সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান জাতীয়তাবাদী যুব দলের নির্বাহী সদস্য এইচ এম সাইফ আলী খান প্রমুখ।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, উনি (আবুল মাল আব্দুল মুহিত) স্বাধীনতার সময় কোন সেক্টরে ও কোথায় যুদ্ধ করেছেন? কোন অবদানের জন্য ওনাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হলো তা জাতি জানতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফরচুন বিশ্বের মহান ৫০ নেতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দশম স্থান দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিএনপির এ নেতা।
তিনি বলেন, যদি এ দেশের মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য মহান নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তা হলে আমাদের আপত্তি নেই। তবে কি কারণে উনি দশম স্থান অধিকার করলেন তা আমাদের জানতে হবে।
ইউপি নির্বাচনে সমালোচনা করে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, যে নির্বাচন হলো তাতে তো ভোট হয়নি, হয়েছে বোট (নৌকা) মার্কা নির্বাচন। আর এ নির্বাচনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিবউদ্দীনের বিচার একদিন বাংলাদেশের মাটিতেই হবে।
দেশে গণতন্ত্র নেই অভিযোগ করে তিনি বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নয়, হাসিনাতন্ত্র, রকিবতন্ত্র ও বাকশালতন্ত্র চলছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশের) সভাপতি আব্দুল হাই সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরো অংশ নেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজে সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান জাতীয়তাবাদী যুব দলের নির্বাহী সদস্য এইচ এম সাইফ আলী খান প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জে তিন কারখানাকে অর্ধকোটি টাকা জরিমানা
নারায়ণগঞ্জে তিন কারখানাকে অর্ধকোটি টাকা জরিমানা
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) একেএম মিজানুর রহমান এসব কারখানার মালিককে তলব করে এ অর্থদণ্ড করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোজাহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ-তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এনফোর্সমেন্ট উইং এসব কারখানা পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে কারখানাগুলো তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) ছাড়াই পরিচালনা করতে দেখা যায়। পরে প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশ দূষণের জন্য নোটিশের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দফতরের এনফোর্সমেন্ট উইং এ তলব করে শুনানি করা হয়।
শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জের থ্রি স্টার ডাইং (থ্রি-স্টার ফ্যাব্রিক্স (প্রাইভেট) লিমিটেডকে ৪৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, আড়াই হাজারের দুপ্তারা ইউনিয়নের তিনগাঁও এলাকার আল বারাকা ওয়াশিংকে (আল ফজল ওয়াশিং) ২ লাখ ৫৬ হাজার এবং আড়াই হাজারের দুপ্তারা ইউনিয়নের নাগরপাড়া এলাকার অনি ডাইং অ্যান্ড ইউসুফ আলী টেক্সটাইলকে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
Subscribe to:
Posts (Atom)